বিশাল খোলা মাঠে অপেক্ষমান হাজার হাজার ভক্ত। মাইক্রোফোনে নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎগতিতে স্টেজে আবির্ভূত হলেন নগরবাউল জেমস। স্টেজে পা দিতেই ‘গুরু’ জয়ধ্বনিতে বিশাল ময়দান মুখরিত। পরনে কালো পাঞ্জাবি-চাদর, জিন্সের প্যান্ট, পায়ে কালো জুতা আর ঢেউ খেলানো লম্বা চুলে কাঁধে গিটার ঝুলানো অন্য এক নগরবাউল! শুরু করলেন গান; নেমে এলো পিনপতন নীরবতা।
দুষ্টু ছেলেদের জন্য গাইতে শুরু করলেন একটার পর একটা পাগল করা গান। নব্বই দশকের অনেকের শৈশব, কৈশোর শুরু হয়েছে এই সুপার রকস্টারের মনমাতানো সব গানে। যাকে সবসময় মঞ্চ মাতাকে দেখা গেছে সেই তারকা এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বিরুদ্ধে গান কপিরাইটের অভিযোগে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করতে গিয়েছিলেন জেমস। তবে আদালতের পরামর্শে তিনি মামলা না করে ফিরে যান।
জানা যায়, রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলা করতে আবেদন করেন জেমস। এ সময় বিচারক তাকে থানায় (গুলশান থানা) গিয়ে মামলা করতে পরামর্শ দেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি বিচারকের পরামর্শে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, জেমস আদালতে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলার আবেদন করতে আসেন। বিচারক গুলশান থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এছাড়া থানায় যদি মামলা না নেয় তাহলে আদালতে এসে মামলার আবেদন করতে বলেন।